শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
যেসব মসজিদ নবী-রাসুলরা নির্মাণ করেছেন

যেসব মসজিদ নবী-রাসুলরা নির্মাণ করেছেন

যেসব মসজিদ নবী-রাসুলরা নির্মাণ করেছেন
যেসব মসজিদ নবী-রাসুলরা নির্মাণ করেছেন

মিজানুর রহমান টনি: ইসলামে মসজিদ নির্মাণের বিশেষ গুরুত্ব আছে। হাদিস শরিফে মসজিদ নির্মাণকে জান্নাতে গৃহ নির্মাণের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। মসজিদ নির্মাণের মতো পুণ্যময় কাজ করেছেন নবীরা। নিম্নে যেসব নবী মসজিদ নির্মাণ করেছেন, তাদের বিষয়ে আলোচনা করা হলো—

কাবাগৃহ : কাবাগৃহ সর্বপ্রথম ফেরেশতারা নির্মাণ করেন।

অতঃপর আদম (আ.) তা পুনর্নির্মাণ করেন। কাবা নির্মাণের ৪০ বছর পর আদম (আ.) অথবা তাঁর কোনো সন্তানের দ্বারা বায়তুল মুকাদ্দাস নির্মাণ করা হয়। (বুখারি, হাদিস : ৩৪২৫; মুসলিম, হাদিস : ৫২০)
কাবাগৃহের পুনর্নির্মাণ : প্রথম রাসুল নুহ (আ.)-এর সময়ে প্লাবনে বায়তুল্লাহর প্রাচীর বিনষ্ট হয়ে যায়। তবে এর ভিত্তি আগের মতো থেকে যায়।

পরবর্তী সময়ে আল্লাহর হুকুমে একই ভিত্তি-ভূমিতে ইবরাহিম (আ.) তা পুনর্নির্মাণ করেন। ইবরাহিম (আ.)-কে কাবাগৃহ নির্মাণ করতে তাঁর পুত্র ইসমাঈল (আ.) সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেন। আল্লাহ বলেন, ‘আর স্মরণ করো, যখন ইবরাহিম ও ইসমাঈল বায়তুল্লাহর ভিত্তি উত্তোলন করেছিল, তখন তারা প্রার্থনা করেছিল, হে আমাদের পালনকর্তা! আপনি আমাদের পক্ষ থেকে এটি কবুল করুন। নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ।
’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১২৭)
বায়তুল মুকাদ্দাস : ইয়াকুব (আ.) কর্তৃক বায়তুল মুকাদ্দাস নির্মাণের প্রায় হাজার বছর পর দাউদ (আ.) পুনরায় তা নির্মাণ শুরু করেন এবং তাঁর পুত্র সুলায়মান (আ.)-এর কাজ সমাপ্ত করেন। (নবীদের কাহিনী, ২য় খণ্ড, পৃষ্ঠা ১৫৯)

আর সুলায়মান (আ.) জিনদের দ্বারা মসজিদের কাজ সম্পন্ন করেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘অতঃপর যখন আমি (আল্লাহ) সুলায়মানের মৃত্যু ঘটালাম, তখন তার মৃত্যুর খবর জিনদের কেউ জানায়নি ঘুণপোকা ছাড়া—যারা সুলায়মানের লাঠি খেয়ে যাচ্ছিল। অতঃপর যখন সে মাটিতে পড়ে গেল, তখন জিনেরা বুঝতে পারল যে যদি তারা অদৃশ্যের জ্ঞান রাখত, তাহলে তারা (বায়তুল মুকাদ্দাস নির্মাণের) লাঞ্ছনাকর শাস্তির মধ্যে আবদ্ধ থাকত না।’ (সুরা সাবা, আয়াত : ১৪)

মসজিদে কোবা : মহানবী (সা.) মক্কা থেকে মদিনায় গিয়ে প্রথমে কোবা নামক স্থানে ১৪ দিন অবস্থান করেন এবং সেখানে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন।

এ মসজিদ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, ‘অবশ্যই যে মসজিদ প্রথম দিন থেকে তাকওয়ার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে, সেটাই তোমার (সালাতের জন্য) দাঁড়ানোর যথাযোগ্য স্থান। সেখানে এমন সব মানুষ আছে, যারা উত্তমরূপে পরিশুদ্ধ হওয়াকে ভালোবাসে। বস্তুত আল্লাহ পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা তাওবা, আয়াত : ১০৮)
রাসুল (সা.) মদিনায় গিয়ে মসজিদে নববী নির্মাণ করেন এবং সাহাবিরা তাঁর সঙ্গে তাঁকে সহযোগিতা করেন। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, (মসজিদে নববী নির্মাণের সময়) আমরা একটা একটা করে কাঁচা ইট বহন করছিলাম আর আম্মার দুটো দুটো করে কাঁচা ইট বহন করছিল। নবী করিম (সা.) তা দেখে তাঁর দেহ থেকে মাটি ঝাড়তে লাগলেন এবং বলতে লাগলেন, আম্মারের জন্য আফসোস, তাকে বিদ্রোহী দল হত্যা করবে।’ (বুখারি, হাদিস : ৪৪৭)

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply